৫ বছর শিকলে বাঁধা অন্ধকার থেকে নতুন জীবনে জেসমিন

রিও জেসমিনকে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিয়ে এক অনন্য নজির স্থাপন করলো।জেসমিন আক্তার বয়স-৩০, বাবা-চাঁন মিয়া -৬২, মাতা-কুলসুম বেগম ৫৫,গ্রাম খানকাপুর, থানা পলাশ, ঘোরাশাল, নরসিংদী। ২০১১ সালে ইসমাইল হাবিলদারের সাথে বিয়ে হয় জেসমিনের। চাঁন মিয়া এবং কুলসুম বেগমের মতে স্বামীর বাড়িতে তাকে অনেক অত্যাচার করা হতো এবং শাশুড়ি তাকে বিভিন্ন রকমের ভেজষ ওষুধ পত্র খাওয়াতো যার ফলে জেসমিনের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তার কিছুদিন পরে জেসমিনের শশুর জেসমিনকে পাগল বলে বাবার বাড়িতে দিয়ে যান।

বাবার বাড়িতে জেসমিনের মানসিক সমস্যা আরও বেড়ে যায় এবং তাকে ০৮.০৫.২০১১ থেকে ০৪.০৬.২০১১ পাবনায় মানসিক হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয় কিন্তু তার মানসিক অবস্থার কোন উন্নতি হয় না।

পাবনার মানসিক হাসপাতাল থেকে জেসমিনকে ফিরিয়ে আনার পর তার পাগলামো বেড়ে যায় এবং তাকে শিকল দিয়ে একটা রুমের মধ্যে বেঁধে রাখা হতো। দীর্ঘ পাঁচ বছর একটা অন্ধকার ঘরে জেসমিনকে মাঝায় শিকল দিয়ে বেঁধে বাধা থাকত এবং সে কোন জামা কাপড় না পরে উল্গজ্ঞ থাকতো।
২০১৭ জানুয়ারীতে, আমাদের রিওর মেম্বার প্রিয়া এবং তার মা পারভিন আক্তার-রিও অফিসে এসে জেসমিনের ব্যাপারটা জন্য যোগাযোগ করেন এবং আমাদের সাহায্যর জন্য আবেদন করেন।

রিও গত ০৯.০২.২০১৭ মেডিক্যাল টিম প্রতিনিধিরা জেসমিনদের বাড়ি ঘোরাশালে তদন্তে যান।

আমাদের রিওর ডাক্তার এস কে সরকার বিভিন্ন পরিক্ষা করে আমাদের জানালেন মেয়েটাকে সুস্থ করা সম্ভব-তার সমস্যা মানসিক আঘাত, কাজেই আমরা যদি ওকে মানসিক আঘাতটা কাটিয়ে উঠার কোন ব্ব্যস্থা করতে পারি, তাহলে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব।

রিও সব দিক বিবেচনা করে জেসমিনের ব্যাপারটা রিও দেখবে বলে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথমের দিকে জেসমিনের ভাই, বাবা, মা এবং অনান্যরা আমাদের কোন সহযোগীতা করতে চায়নি। রিও থেকে বলেছি আপনাদের টাকা পয়সার সমস্যা এগুলো সব রিও দেখবে। আমরা এর পর কিছুদিন পর পর নরসিংদী ভিজিট করি।

রিওর চেয়ারম্যান, রিওর মেডিক্যাল টিম আইন ও অনান্য সরকারের লোকজনের সহায়তায় জেসমিন কে ঢাকায় নিয়ে আসেন। রিওর টিম তাকে ঢাকায় মিরপুর মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে দুই মাস রাখার পর হাস্পাতালের ডাক্তার এবং আমাদের রিওর ডাক্তারের টিম তাকে সুস্থ করে তোলে,পরে রিও জেসমিনকে তার পরিবারের কাছে তাকে দিয়ে দেয়। জেসমিন এখন স্বাভাবিক এবং ডাক্তার বলেছেন দু মাস পর পর চেক আপ করাতে এবং সে এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। আমরা রিওর পক্ষ থেকে মিরপুরে মানসিক হাস্পাতালের ডাক্তার কর্মকর্তা এবং অনান্য দের ধন্যবাদ জানাই, তারা রিওকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।

Chandan Sarkar- Chairman

Research and Empowerment Organization -REO

www.reobd.org

রিওর এই মহতী কাজটি ইরাদিকে উৎসর্গ করা

 

Prof Chandan Sarkar

Disclaimer: The facts and opinions expressed within this article are the personal opinions of the author. www.HinduAbhiyan.com does not assume any responsibility or liability for the accuracy, completeness, suitability, or validity of any information in this article. Subjected to Delhi Jurisdiction only.

Share

Compare