দুঃখিনী মায়ের পাশে মানবতার সৈনিক রিও’র দিনাজপুর জেলার উত্তম,সুজনরা !

Chandan Sarkar

মেধাবী শিক্ষার্থী ধন্যরামের বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সংগঠন রিসার্চ এন্ড আম্পাউয়ার মেন্ট অর্গানাইজেশন (রিও)। বাড়িতে গিয়ে তথ্য কালেকশন থেকে শুরু করে মানববন্ধন, রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে গণসমাবেশ।ভারতীয় হাইকমিশনের নজরে নেওয়া এবং ফার্স্ট সেক্রেটারীর ধন্যরামের বাড়ী পরিদর্শন, কুখ্যাত শাহাজাহান গং এর একজন গ্রেফতার করানো বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে চাট্টিখানি কথা নয় এক কথায় দুরুহ। এ যেন এক অসাধ্য, যেটা সাধন করে দেখালেন রিও’র দিনাজপুরের সেনাপতি উত্তম কুমার রায় এবং সুজন রায়রা!

গত ২জুন ২০১৭ দিনাজপুরের কাহারোল, বিরলী গ্রামের গরীব পারনা বালার -৩২ বিচন ক্ষেত গরু দিয়ে খাওয়ালে গরু আটক করলে ঘটনার সুত্রপাত হয়। গরুর মালিক তারাপুর গ্রামের ফজল আলীর ছেলে শাহজাহান আলী গরু আনতে গিয়ে পারনা বালাকে মারধর করে, তার শাড়ী ও চুল ধরে টানা হেচড়া করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। মায়ের এমন পরিস্হিতি দেখে পুত্র ধন্যরাম তার মাকে রক্ষা করতে ছুটে যায়। কিন্তু শাহজাহান ধন্যরামকে হত্যার উদ্দেশে বাঁশের খুটি দ্বারা আঘাত করার চেষ্টা করলে ধন্যরাম দৌড়ে পলায়ন করে তাদের নিজ বাড়ীতে ফিরে আসে।

 

 

 

 

 

 

 

 

ঘটনার কিছুক্ষণ পরে শাহজাহান(৩৪) ও ভাই আবুল কালাম(৪৩), জব্বার(৪৮), আবুল বাশার(৩৮) এবং মামা তাজুল ইসলাম(৫৫) ও মামাত ভাই আনু(৩০) দল পারনা রানীর বাড়ী আসে তার ছেলেকে খোজতে থাকে এক পযায়ে ধন্যরামকে ঘর থেকে জোড় করে, বেঁধ্‌ হত্যার উদ্দেশে তুলে নিয়ে যায়। পারনাবালা হাত-পা ধরে কাকুতি মিনতি করেও ছেলেকে রক্ষা করতে পারেনি।  খুনিরা ধন্যরামকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী তরলা আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।

বিবরণে প্রকাশ, শাহজাহান গংরা এরপূর্বে বিনা অপরাধে কাহারোলের নজরুল ইসলামের দুহাত ও দুইপা বাশ দিয়ে আঘাত ভেঙ্গে দেয় এবং তার ভাইকে বিনা অপরাধে দাঁত -মুখে লাঠি দিয়ে মেরে ভেঙ্গে দেয়। যার মামলা এখনো চলমান রয়েছে।

ইতিপূর্বে শাহজাহান গংরা তারাপুর গ্রামের শামসুল,কাদের ও তাদের মাকে বিনা অপরাধে মারধর করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। তাদের বিরুদ্ধে বলার মত কেউ নেই।

উল্লেখ্য, শাহজাহানের আবুল হোসেন নামে এক ভাই জেএমবি সদস্য হিসেবে ২/৩মাস পূর্বে গ্রেপ্তার হযে অদ্যাবধি জেলে রয়েছে।

ঘটনাটি স্বর-জমিনে যান রিসার্চ এন্ড আম্পাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশনের (রিও) দিনাজপুরের প্রেসিডেন্ট এবং সাধারণ সম্পাদক সুজন রায় , তারা  ঘটনার সত্যতা পরিদর্শন করেন তাদের সাথে ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় হিন্দু মহাজোট সহ সভাপতি গৌরহরি ও দিনাজপুর জেলা মাইনরিটি ওয়াচ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। সকলে ধন্যরাম রায়ের খুনীদের সুষ্ঠু বিচার চান য়াবং রিওর নেতৃত্বে এক বিশাল মানব বন্ধনের করেন তাতে আলাকার সব শ্রেনীর মানুষের অংশগ্রহন করেন এবং আলাকায় আলোড়নে আইন শৃক্ষলা বাহিনী ধন্যরামের হত্যা কান্ডকে গুরুত্ব দেন।

ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য শাহজাহানের চাচা শ্বশুর বর্তমানে ৪নং তাড়গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এবং তার সহযোগীরা আপ্রাণ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি মৃত ধন্যরামের কাকা বিশুকে পিং-মৃত তারিনী সাং-পরমেশ্বরী-কে কাহারোল থানায় নিয়ে এসে গত ৩জুন তারিখে অপমৃত্যুর আবেদন করিয়ে নেন। যার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলানং-১৫,তাং-০৩/০৬/১৭, সময়ঃ সকাল ১১ঃ০৫।

অপরদিকে কাহারোল থানার এসআই সুরত চন্দ্র রায়(লাশ তদন্তকারী)-কে দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্ট লিখিয়ে নেন শাহজাহান গং।

শাহজাহানের চাচা শ্বশুর বর্তমান ৪নং তাড়গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান অর্থের বিণিময়ে থানা প্রশাসন সহ সকল আইনী মহলকে দমিয়ে রাখা সহ অর্থের বিণিময়ে লাশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট বানচাল সহ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে গোপন সুত্রে প্রকাশ।

বিবাদীরা প্রকাশ্যভাবে বলে বেড়াচ্ছে যে, যারা তাদের বিপক্ষে স্বাক্ষী দিবে ও লড়বে তাদের দশা মৃত ধন্যরামের মতোই হবে।

গত ২২জুন বৃহস্পতিবার বিরলী গ্রামের ধন্যরাম রায়ের বিচারের দাবীতে মানববন্ধনের মাইকিং চলাকালে শাহজাহান গংরা বাঁধা সৃষ্টি করে। নাসির নামে জনৈক সাংবাদিককে আটকে হত্যার চেষ্টা করে। কেউ যেন মৃত ধন্যরামের বিচারের দাবীতে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করতে না পারে সেইজন্য তারা বাঁধাপ্রদান করে ও বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করেছে।

মৃত ধন্যরামের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গত ২৩জুন শুক্রবার মানববন্ধনের পথসভায় বক্তৃতা দেন, রিসার্চ এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন
(রিও)র দিনাজপুর জেলা সভাপতি উত্তম কুমার রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টিয়ান পরিষদের কাহারোল উপজেলা সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র রায়, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সহসভাপতি গৌরহরি চাঁদ, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির কাহারোল উপজেলা সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান মাস্টার, ন্যাশনাল অাওয়ামী পার্টি(ন্যাপ)রংপুর বিভাগীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃরকেট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দিনাজপুর জেলা সাধারন সম্পাদক মোঃজামিরুল ইসলাম,শারদাণ্জলী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সন্তোষ কুমার রায় প্রমুখ।

বক্তারা সকলে মৃত ধন্যরাম রায়কে যারা হত্যা করেছে সেই খুনীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

মানববন্ধন সভাশেষে হাজার হাজার জনতার ঢল কাহারোল থানা ঘেরাও করেন। গতকাল রাতে শাহজাহানকে কাহারোল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। দিনাজপুর জেলাধীন কাহারোল উপজেলার বিরলী ঈদগাহ মাঠে বিরলী গ্রামের ধন্যরাম হত্যার বিচারের দাবীতে রিসার্চ এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন (রিও)র সভাপতি উত্তম রায়, সাধারন সম্পাদক সুজন রায়  হিন্দু -বৌদ্ধ-খ্রীষ্টিয়ান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা নিম ভৌমিক, প্রভাষ চন্দ্র রায় এবং সর্বস্তরের জাহার জাহার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতিত্ব করেন প্রভাষ চন্দ্র রায়।

রিসার্চ এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন(রিও) – মানুষের কথা বলে………

E-mail: info@reobd.org, website: www.reobd.org

 

Prof Chandan Sarkar

Disclaimer: The facts and opinions expressed within this article are the personal opinions of the author. www.HinduAbhiyan.com does not assume any responsibility or liability for the accuracy, completeness, suitability, or validity of any information in this article. Subjected to Delhi Jurisdiction only.

Share

Compare